শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৭ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
করোনা মোকাবিলায় ম্যালেরিয়ার ওষুধে ভরসা মোদি সরকারের

করোনা মোকাবিলায় ম্যালেরিয়ার ওষুধে ভরসা মোদি সরকারের

নোভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ভাল ফল মিলছে ম্যালেরিয়ার ওষুধে। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ জন্য ‘ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট অব কোভিড-১৯’ নামে তাদের নির্দেশিকাটি সংশোধনও করেছে মঙ্গলবার। নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোভিড-১৯-এ যারা গুরুতর ভাবে ভুগছেন, যাদের আইসিইউয়ে রেখে চিকিৎসা করতে হচ্ছে, তাদের ক্ষেত্রে ম্যালেরিয়া-রোধী ওষুধ  হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনিন এবং অ্যাজিথ্রোমাইসিনের মিলিত প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে ১২ বছরের কম বয়স হলে এর প্রয়োগ না-করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এর আগে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আগের নির্দেশিকায় লোপিনাভির ও রিটোনাভির নামে এইচআইভি-প্রতিরোধী দু’টি ওষুধের মিলিত প্রয়োগের সুপারিশ করেছিল। কিন্তু নতুন নির্দেশনায় তা বাদ দেয়া হয়েছে। কেন এই বদল? দিল্লির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুক্তি, এখনও নোভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট কোনো ওষুধ পাওয়া যায়নি।  তবে, নানা ক্ষেত্রে যে সব ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে— সেই সব তথ্যের সর্বশেষ বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, এইচআইভি-বিরোধী ওই দু’টি ওষুধ তেমন উল্লেখযোগ্য ফল দিতে পারছে না। বরং ম্যালেরিয়ার ওই দুই ওষুধের মিলিত প্রয়োগ কার্যকর হচ্ছে। বিশেষ করে আইসিইউয়ে থাকা গুরুতর রোগীদের ক্ষেত্রে।

নির্দেশনায় অবশ্য বড়-ছোট সকলের চিকিৎসার ব্যাপারেই পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, রোগীর অসুস্থতার মাত্রা সামান্য, মাঝারি বা গুরুতর হতে পারে। তৃতীয় ক্ষেত্রে প্রবল নিউমোনিয়া, তীব্র শ্বাসকষ্ট (এআরডিএস), সেপসিস (যাতে বিভিন্ন অঙ্গ বিকল হতে থাকে) বা সেপটিক শক (রক্তচাপ মারাত্মক কমে গিয়ে যাতে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে) দেখা দিতে পারে। এমন উপসর্গ যথাসম্ভব আগে চিহ্নিত করে অবিলম্বে ‘সাপোর্টিভ কেয়ার ট্রিটমেন্ট’ ও ‘আইসিএউ’-এ নিতে হবে। আগে থেকে অন্য ক্রনিক অসুখ থাকলে, কোনটির থেরাপি চালাতে বা থামাতে হবে, সে ব্যাপারে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে চিকিৎসকদের।

এদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় রয়েছে, রোগীর অবস্থা, চিকিৎসা কোন পথে চলছে ও কী পর্যায়ে আছে— এই সব তথ্য তার স্বজনদের অবশ্যই স্পষ্ট করে জানাতে হবে। সুস্থ থাকার জন্য রোগীর স্বজনদেরও কী করণীয়, সে বিষয়েও তাদের সচেতন করে যেতে হবে নিরন্তর। ‘লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম’-এ নিতে হলে রোগীর মতামত ও পছন্দকেও বুঝতে হবে চিকিৎসকদের। সূত্র : আনন্দবাজার

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877